স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: আজ এবং আগামীকাল ভৈরব- আশুগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ’র অবৈধ উচ্ছেদ চলার কারণে ঘাটে দায়িত্বরত কেউ না আসলেও নোঙর প্রতিদিনের মত আজও প্রদর্শন করেছে। ঘাটে গিয়ে বেশ কয়েকটি ইতিবাচক দিক আমাদের চোখে পড়ল। গত দুই দিনের ন্যায় মাঝিদের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা ও আইন মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কেউ কেউ এগিয়ে এসে বলছে ভাই আমরা এখন ১০/১২ (মাঝারী নৌকায়) জনের বেশি যাত্রী উঠাই না। আমরাও চাই সরকারের দেয়া আইন মানতে। জীবনের চেয়ে তো আর ব্যবসা বড় হতে পারে না। গত দুই দিনের বিআইডব্লিউটিএর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের খোঁজ নিতে অনেকেই এগিয়ে আসলো ভাই আমার নৌকার রেজিস্ট্রেশন করাবো তারা কবে আসবে। তাদেরকে লাইফ জ্যাকেট এবং বয়া’র কথা জিজ্ঞেস করলে বলেন, ভাই আমাদের তো একটু সময় দিতে হবে। তবে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকাগুলো ভাই বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা তারা কোনো প্রকার নিয়ম নীতি তোয়াক্কা করছে না। তাদের জন্য আমাদের ও বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। ছোট ছোট ঢেউ এই নৌকার জন্য খুব বিপদ। বড় নৌকাগুলো কম থাকায় তাড়া বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সকল মাঝিরা জোরালো দাবী জানিয়েছেন, এই ঘাটে বাজারের দোকানদার তাদের সকল ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলে। এই ঘাটকে তারা ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলেছে। সকল মাঝিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের দেয়া সকল দাবি মেনেই আমরা নৌপথে চলাচল করতে চাই।
আমাদেরকে সেভাবে চলতে দিতে হবে, আমাদের ঘাটটিকে ডাস্টবিন বানানোর কবল থেকে বাঁচান। এ ব্যাপারে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, একটি বিষয় দেখে আমার খুব ভাল লাগছে, কর্তৃপক্ষের দেয়া সকল নিয়ম কানুন তারা মেনে চলতে চায়। তাদের নৌযান নিবন্ধন করতে চায়। তারাও বুঝতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ যা করছে তাদের ভালোর জন্যই করছে। জীবনের চেয়ে বেশি মূল্য কিছুই হতে পারে না। আশা করি কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে নিয়ে আর খামখেয়ালি করবে না। আরেকটি বিষয়ে মাঝিরা সকলে মিলে তাদের যে ঘাট নিয়ে ময়লা আবর্জনা বিষয়ক অভিযোগ, এ বিষয়টি নিয়ে নোঙর বহুদিন ধরে কথা বলে আসছে। এখনো আমরা আশাবাদী কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাববেন এবং বাজারের ব্যবসায়ীরাও সচেতন হতে হবে। নয়তো আমাদের এই তিতাস নদী কাগজে কলমেই থাকবে। বাস্তবে আর তিতাসের অস্তিত্ব থাকবে না। এরকম নজির আমাদের দেশেই আছে দূরে যেতে হবে না। এছাড়াও উপস্তিত ছিলেন নোঙর’র জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ শিপন কর্মকার, নির্বাহী সদস্য সোহেল আহাদ ও কামরুজ্জামান খাঁন টিটু প্রমূখ। উল্লেখ্য গত ২৭ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের লইসকার বিলে বালবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষে নারী শিশুসহ ২২জন এবং গত রবিবার আরো একজনের মৃত্যুসহ মোট ২৩জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। প্রতি মরদেহ দাফনের জন্য বিশ হাজার টাকা করে মোট এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
কামরুজ্জামান খান টিটু
জেলা সদস্য নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া