৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ- অভিযুক্ত পলাতক!

245

স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরায় ৮ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিশুটি ঘাটুরা গ্রামের ঘাটুরা সরকারী প্রাথিমকি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বর্তমানে শিশুটি জেলা সদর হাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত কাজী পাভেল (৩৫) ঘাটুরা গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত কাজী আনু মিয়ার ছেলে। কাজী পাভেল দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় গ্যাস সংযোগের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।
শিশুটির পারিবাকি সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির পিতা গরুর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিন শিশুটির পিতা ঘাটুরা গ্রামের কাজী বাড়ির কাজী পাভেলের বাড়িতে দুধ বিক্রি করেন। গত বৃহস্পতিবার শিশুটির পিতা কাজের চাপ থাকায় স্কুলে যাবার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই শিশুটিকে কাজী পাভেলের বাড়িতে দুধ দিতে পাঠায় তার মা। শিশুটি দুধ দিয়ে আসার সময় কাজী পাভেল শিশুটি সিঁড়ি থেকে জোর পূর্বক মুখে চাপ দিয়ে বাড়ির নিচ তলার একটি কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এসময় কেউ একজন এসে দরজায় ধাক্কা দিলে শিশুটিকে ছেড়ে দেয় কাজী পাভেল। শিশুটির মা জানান, দুধ দিয়ে বাড়ি ফিরে এসে কাঁদতে কাঁদতে সে আমাকে সবকিছু খুলে বলে। ঘটনাটি জানার পর পাভেল আমাদের হুমকি দেয় কাউকে যেন না জানাই। কিন্তু এলাকায় জানাজানির পর এবং রাতে মেয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পর তাকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করি। কাজী পাভেল এলাকার প্রভাবশালী ও বিত্তশালী হওয়ায় বিভিন্নভাবে ঘটনাটি না বাড়ানোর জন্য হুমকি প্রদান করে আসছে। জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জিনান রেজা জানান, শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কাজী পাভেলের দু’টি মুঠোফোনে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, আমাদের কাছে ওই শিশুর পরিবার কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন