ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পুকুর ভরাট এর অভিযোগ!

281

নিউ মৌড়াইল মহল্লার একমাত্র পুকুরটি অবৈধভাবে ভরাটের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পাওয়ার হাউজ রোড সংলগ্ন ও জেলা পরিষদের পিছনে থাকা নিউ মৌড়াইল মহল্লার একমাত্র পুকুরটি অবৈধভাবে ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ মার্চ ২০২০ বুধবার জেলা প্রশাসক, পৌরসভা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বরাবর নিউ মৌড়াইল মহল্লাবাসীর পক্ষে হাজী সহিদ মোল্লার ছেলে মোল্লা মো. শামীম এ অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন এলাকায় থাকা শত বছরের একমাত্র পুুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে মহল্লায় আর কোন পুকুর থাকছে না। এর ফলে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। মহল্লায় কারো বাড়িতে আগুন লাগলে এই পুকুরটিই একমাত্র ভরসা যা আজ বিলীন হওয়ার পথে। তিনি বলেন, এ পুকুরে আমরা এক সময় গোসল করেছি, কাপড় ধুয়েছি, গৃহস্থালীর সকল কাজ করেছি। ইদানিং দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দা মৃত হাজী জুরু মিয়ার ছেলে এনাম ভূইয়া পরিবেশ অধিদপ্তর অথবা পৌরসভার কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই মাটি ফেলে পুকুরটি ভরাট করছেন। অবৈধভাবে পুকুর দখল করে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করছেন। এনাম ভূইয়াকে মহল্লাবাসী বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাদেরকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন এই মুহুর্তে পুকুরটি আমাদের খুবই প্রয়োজন। অগ্নি নির্বাপণের জন্য মহল্লাবাসীর একমাত্র ভরসা এই শত বছরের পুুকুরটি আজ হারাতে হচ্ছে। প্রশাসন কর্তৃপক্ষ যথাপযোক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউ মৌড়াইল মহল্লার একজন বাসিন্দা জানান, আমরা ছোটবেলায় এ পুকুরে গোসল করেছি, পুকুরের পানি অনেক স্বচ্ছ ছিল। এখন পুকুরটি ভরাট করার জন্য তারা পুকুরটি ময়লা ফেলে দূষিত করে ভরাট করে ফেলছে। পুকুর দখলকারী এনাম ভূইয়ার ভাতিজা সজীব ভূইয়া জানান, আমরা যে জায়গাটি মাটি ফেলে ভরাট করছি তা নিতান্তই আমাদের নিজস্ব জায়গা। এ জায়গা পুকুর অংশের নয়। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই জায়গাটি ভরাট করছি। ছাড়পত্র কোথায় জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে ছাড়পত্রটি দেখাতে আপত্তি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর সভাপতি শামীম আহমেদ পরিদর্শন শেষে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এক সময় শত শত পুকুর ছিল। ভূমিদস্যুদের কারণে শহর আজ পুকুর শূণ্য হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় চলতে থাকলে এক সময় শহরে আর কোন পুকুরই থাকবে না। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে পুকুরগুলো রক্ষা করার। নোঙরের পাশাপাশি শহরে অবস্থিত সকল সামাজিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিপ্তর ও পৌর কর্তৃপক্ষ যেন অবহেলিত ও দখলকৃত পুকুরগুলো দখলমুক্ত করে পুনরায় এলাকাবাসী ব্যবহার করতে পারেন সে ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আহবান জানান।

 

এ ছাড়াও সরেজমিন পরিদর্শনে আরো উস্থিত ছিলেন নোঙর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য সোহেল আহাদ, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক খায়রুল কবির এবং অর্থ সম্পাদক শিপন কর্মকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন